নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইন্টার্ন ডক্টরস সোসাইটির নবনির্বাচিত সভাপতি ডাঃ সাদমান সাকিব মিরাজকে নিয়ে ফেক আইডি ব্যবহার করে সোশাল মিডিয়ায় মিথ্যাচার, মানহানিকর ও ব্যক্তিগত আক্রমনের ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।
ইন্টার্ন ডক্টরস সোসাইটির নবনির্বাচিত সভাপতি সাদমান সাকিব মিরাজ ও সাধারণ সম্পাদক ডাঃ নাঈম শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি সুত্রে জানাযায়, গত ৩০ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখে রংপুর মেডিকেল কলেজ ইন্টার্ন ডাক্তার সোসাইটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে সভাপতি পদে সাদমান সাকিব মিরাজ বিপুল ভোটে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ৩৯ ভোট কম পায়। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সোশাল মিডিয়াতে কিছু ফেক আইডি দ্বারা মিরাজের বিরুদ্ধে মিথ্যা স্ক্রিনশট দিয়ে তার চরিত্রহরনের চেষ্টা করা হয়। এমনকি নির্বাচনের পর তার রুমের সামনে মব সৃষ্টি করে পরাজিত শক্তির দুই গ্রুপ তার বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে ষড়যন্ত্র এবং ব্যক্তিগতভাবে আক্রমনের চেষ্টা করেছে। অছাত্র হল দখলকারী একটি চক্র মিথ্যা প্রোপাগান্ডা বানিয়ে মিথ্যা নিউজ করে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক বরাবর স্মারকলিপিতে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহনের আহবান জানানো হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করেছেন ডাঃ মিরাজ। যার জিডি নং- ১১৬।
ডাঃ সাদমান সাকিব মিরাজ সাংবাদিকদের জানান, ‘আমি ইন্টার্ন ডক্টরস সোসাইটির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় নির্বাচনে পরাজিত গ্রুপ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এরই অংশ হিসেবে ইশফাক হোসেন নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ভুয়া স্ক্রিনশট তৈরি করে আমাকে জড়িয়ে একটি মনগড়া পোস্ট করে। সেই পোস্টের উদ্ধৃতি দিয়ে “দি ডেইলি ক্যাম্পাস ডট কম” নামে পোর্টালে সঠিক তথ্য যাচাই না করে মিথ্যা নিউজ করে।
জানাযায়, ডাঃ মীর মোঃ সাদমান সাকিব(মিরাজ) রংপুর মেডিকেলের ৪৯ তম ব্যাচের একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক। গত ৩০ আগষ্ট ২০২৫ তারিখ অনুষ্ঠিত ইন্টার্ন ডক্টর সোসাইটি নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন। নির্বাচনে ১৫৩ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক তাদের ভোটাধিকার প্রদান করেন। যার মধ্যে মিরাজ ৮৪ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ৪৫ ভোট ও অপর একজন প্রার্থী ২৩ ভোট পান।
এদিকে নির্বাচনের পরপরই পরাজিত প্যানেলের প্রার্থীরা একত্রিত হয়ে নবনির্বাচিত সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট এবং কাল্পনিক বিভিন্ন অভিযোগ তুলে মব সৃষ্টি করার চেষ্টা করে।।
ডাঃ মিরাজ অভিযোগ করে বলেন, এই ধরনের মব কালচার, বিশৃঙ্খলা ও অপপ্রচারের মাধ্যমে সকল ইন্টার্ন ডাক্তারের ভোটাধিকার, মতামত কে অবমাননা করা হচ্ছে যা আগামীর জন্য একটা বাজে উদাহরণ হয়ে থাকবে। পেশী শক্তি, বিশৃঙ্খলা, ষড়যন্ত্র করে যদি নির্বাচিত একজন প্রতিনিধিকে সরিয়ে দেওয়া যায় ভবিষ্যতে ইন্টার্ন ডাক্তারদের প্রতিনিধিত্ব একটা সুনির্দিষ্ট চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়বে। এরফলে ইন্টার্ন ডাক্তাররা তাদের নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন।
অভিযোগ, নির্বাচনে পরাজিতরা বিভিন্ন ইন্টার্ন ডাক্তারকে এখনও নানা ভাবে হুমকি,ধামকি প্রদান করা হচ্ছে, ভয় দেখানো হচ্ছে। ডাঃ মিরাজ আরো বলেন, ইন্টার্ন ডক্টর সোসাইটি কোন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করে না। কাজেই এই সংগঠনে যারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার চর্চা শুরু করেছে তাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সকল ইন্টার্ন চিকিৎসকদের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে আসুন আমরা একত্রিত হয়ে এইসব ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অধিকার আদায়ে কাজ করি।